Subscribe Us

Header Ads

বন্ধু | ভার্সিটি পড়ুয়া পাঁচ মেয়ে আর এক ছেলের গ্রুপের বিশেষ গল্প | পর্ব ১২

বন্ধু | ভার্সিটি পড়ুয়া পাঁচ মেয়ে আর এক ছেলের গ্রুপের বিশেষ গল্প | পর্ব ১২


এর মধ্যে ফারিয়া আসল। হাত মুখ ধুয়ে আসায় ফ্রেশ লাগছে দেখতে। এসে রুমের উলটা দিকের বইয়ের তাক থেকে টিস্যু নেওয়ার জন্য উলটা ঘুরল ফলে আমার দিকে ওর পুরা প্রোফাইল ভিউ পাওয়া যাচ্ছিল। কোমড় পর্যন্ত উঠে যাওয়া কামিজের কাটার ভিতর দিয়ে ওর উচু পাছা টা দেখা যাচ্ছিল। প্রভার ভিডিও দেখার পর আজকাল যে কি হইছে খালি এইসব চিন্তা মাথায় চলে আসে। পর্ন যে দেখি না তা না তবে আসল জিনিসের প্রভাব বেশি। আর পর্নে থাকে কোন অভিনেত্রী অভিনেতা কিন্তু প্রভার ভিডিও যেন রক্ত মাংসের সামনের মানুষদের সম্পর্কে এইসব চিন্তার দ্বার টা আমার ক্ষেত্রে খুলে দিয়েছে। তাই একবার জুলিয়েটের দিকে আড় চোখে তাকাই, শালী চোখ বন্ধ করে পরে রইছে। এই সুযোগে ফারিয়ার দিকে তাকাই। তাকের বই গুলা খেয়াল করছে মনযোগ দিয়ে। আমার দিকে সাইড ফিরে আছে তাই বুক পাছা সব যেন চোখ দিয়ে মাপি। মন হয় প্রভার দুধের মত ওর দুধও আমার জন্য উন্মুক্ত। উফ কি পাছা। কামড়াইতে ইচ্ছা করতেছে খালি। সুজনের কথা মনে পরে যায়। দেখছিস কি উচু উচু পাহাড়। খারাপ চিন্তা মাথা থেকে দূর করতে মোবাইল বের করে পুরান এসেমেস ডিলিট করতে থাকি। 

ফারিয়া ঘুরে এইবার আমাকে জিজ্ঞেস করল কিরে কি নিয়ে কথা হচ্ছিল এতক্ষণ। আমার নাম শুনলাম মনে হয়। আমি বললাম কিছু না। জুলিয়েট চোখ বন্ধ করেই বলল তোর হিসু নিয়ে কথা হচ্ছিল। ফারিয়া একটু লাল হয়ে বলল ডার্টি মাউথ। জুলিয়েট বলল এই গালি দিবি না এমনিতেই দশতালা সিড়ি বাইছি তোর জন্য, কি হইত নিচের টয়লেটে গেলে। এত উপরে উঠতে উঠতে জান বের হয়ে গেছে। এইবার ফারিয়ার ক্ষেপার পালা। ফারিয়া বলে, শোন তুই কেয়ারলেস হইতে পারিস কিন্তু আমি না। জানিস এইসব টয়লেটে অনেকসময় গোপন ক্যামেরা ফিট করে রাখে অসভ্য লোকজন। তখন কি হবে? প্রভার মত ভিডিও বাজারে ঘুরে বেড়ালে ভাল লাগবে? জুলিয়েট মুচকি হেসে উত্তর দিল প্রভার মত পাছা তোর, বের করলে ওরা তোর ভিডিও বের করবে আমার না। ফারিয়া আর রেগে গেল, বলল কেয়ারলেসের মত কথা বলিস না সব পাছাই পাছা। তোর আমার সব পাছাই পেলে ওরে এর ভিডিও বাজারে ছেড়ে দিবে (ফারিয়া রেগে গেলে আশেপাশে কে আছে গ্রাহ্য করে না। সাধারণত ও এইভাবে কথা বলে না তবে আজকে মনে হয় মেজাজ বেশি গরম হয়ে গেছে তাই আমাকে গ্রাহ্যই করছে না)। এইবার জুলিয়েট উঠে বসল, বলল শোন যখন আসিফের সাথে রুম ডেটিং এ যাস তখন কেয়ারলেস কথা টা মাথায় থাকে না। প্রভার ভিডিও বয়ফ্রেন্ড ছড়াইসে কোন মার্কেটের টয়লেট থেকে না। ফারিয়া উত্তর দিল শোন টিপিক্যাল বাংগালির মত কথা বলিস না দোষ প্রভার বয়ফ্রেন্ডের প্রভার না। একটা মানুষ যার সাথে ইচ্ছা সম্পর্ক করতে পারে পরে সেই সম্পর্ক ভেংগে গেলে সেই সময়ের গোপন জিনিস সারা পৃথিবী কে দেখানোর কিছু নাই। আর আমার লিমিট সম্পর্কে আইডিয়া আছে আমি যতই রুম ডেটিং এ যাই না কেন ফার্স্ট আর সেকেন্ড বেসের নিচে নামি না। জুলিয়েট উত্তর দিল জলে নামব কিন্তু চুল ভেজাব না এই তো। এর মধ্যে আমি একদম চুপ মেরে রইলাম। কেননা কি উত্তর দিব আর পরে দুই জনে মিলে আমাকে ধুবে। 

বলতে না বলতেই ফারিয়া আমার দিকে ঘুরে প্রশ্ন করল এই ব্যাপারে তোর কি মত? আমি বললাম কি ব্যাপারে। এই যে প্রভার ঘটনা বা মেয়েদের সাবধান থাকা। আমি চুপ করে থাকলাম। ফারিয়া বলল কিরে প্রভার ঘটনা শুনিস নাই নাকি প্রভাকেই চিনিস না শালা। জুলিয়েট বলল আরে ছেড়ে দে ওরে, বেচারা এইসব কথায় স্বস্তিবোধ করে না। ফারিয়া ক্ষেপে ছিল, সম্ভবত আমার সামনে ওর পাছা হিসু এইসব নিয়ে কথা বলায়। জুলিয়েটের উপর রাগ ঝাড়তে না পেরে এইবার আমার দিকেই নিশানা তাক করল। কিরে খোকা (গলায় টিজের সুর) কোন মেয়ের দিকেই তাকাস না নাকি। আমার দিকে কিন্তু তোকে আমি তাকাইতে দেখছি। আমি বললাম আমি তো তোর দিকে তাকাই আছি, অন্য সময় কি না তাকায়ে কথা বলি? ফারিয়া বলল এই তাকান সেই তাকানো না খোকা। তুই আমার বুকের দিকে তাকাস না বল, সত্যি করে বল। জুলিয়েট তুই যে বলছি একবার আমাকে ও আমার বুকের দিকে তাকায় সত্যি ঘটনা? জুলিয়েট বলে ছাড় তো, কি হইছে তোর। ওর বাসায় এসে ওরে এমন এম্ব্রেস করতেছিস কেন। ফারিয়া উত্তর দিল কেন তোর ভাষায় ও আমার দুদুর দিকে তাকাতে পারবে আমি কিছু বলতে পারব না। আমি বললাম জুলিয়েট সব সময় ফাইজলামি ভাল না। তুই কি না কি বলছিস ফারিয়া এখন আমার উপর ক্ষেপতেছে। জুলিয়েট বুদ্ধিমতি মেয়ে। ঘটনা সামলানোর জন্য বলল, শোন ফারিয়া সবাই দেখে তুইও দেখিস। কেন স্ট্যাট স্যারের টাইট এস নিয়ে কে কথা বলছে আমি? না তুই? সেই রকম ছেলেরাও দেখে। এখন এই দেখায় যদি কেউ ক্ষতি না করে তাইলে আমি সমস্যা দেখি না। আমিও তো দেখি। পরিস্থিতি হালকা করার জন্য জুলিয়েট বলল রাস্তায় ভাল ছেলে দেখলে আমিও দেখি, ঘাড় ঘুরিয়ে দেখি। ফারিয়াও এইবার হালকা হয়ে বলল তা তুই তো বলিস মাহি ভাল ছেলে। ওরেও দেখিস বলেই দিল সেই এক মুচকি হাসি। জুলিয়েট বলল ঘর ক্যা মুরগী ডাল বারাবার।

এইদিকে কথায় কথায় দুইটা বেজে গেছে। খেয়াল করি নি। কারেন্ট চলে আসছে এর মধ্যে। ক্ষুধা লাগছে ভাল। পরিস্থিতি হালকা করার জন্য বললাম ফ্রিজে মুরগি আছে রান্না করা। আমি খিচুড়ি বসায় দেই পরে আচার দিয়ে ভাল একটা ভোজ হবে। ফারিয়া একটু গাইগুই করল। বলল চল বাইরে কোথাও খাই। রান্না হইতে সময় লাগবে। জুলিয়েট এইবার ধমক দিল, এই তুই এত নখড়ামি করতাছিস কেন। রাইস কুকারের বসালে বেশিক্ষণ লাগবে না। সকাল থেকে পোলাটারে জ্বালাইতেছিস। শেষ পর্যন্ত ঠিক হল মুরগি খিচুড়ি হবে আজকের দুপুরের খাদ্য। 

খিচুড়ি হইতে হইতে তিন টা বেজে গেল। হাত মুখ ধুয়ে খেতে খেতে সাড়ে তিন টা বেজে গেল। খেতে খেতেই বৃষ্টি নামল। হঠাত বৃষ্টি, তুমুল বৃষ্টি। বাইরে অন্ধকার হয়ে গেল। এই ফাকে আবার কারেন্ট চলে গেল। বৃষ্টির কারণে বাইরে যাওয়ার উপায় নেই, অন্ধকার অন্ধকার একটা ভাব আর সাথে হালকা ঠান্ডা। আড্ডার উপযুক্ত পরিবেশ। এই অবস্থায় শুরু হল আমাদের তুমুল সেই আড্ডা। আর সেই আড্ডাতেই আমাদের মূল রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রথম ধাপ শুরু।

সেই দিনের আবহাওয়ায় কিছু একটা ছিল। বৃষ্টির মধ্যে অন্ধকার। আলো আধারির খেলায় স্টাডি রুমের মাটিতে পাতা বিছানার তিন কোনায় তিন জন দেয়ালে হেলান দেওয়া। অন্ধকার অনেক সময় আমাদের প্রকাশ করতে সাহায্য করে। হয়ত তাই অথবা আমাদের মধ্যে এমন একটা সম্পর্ক গড়ে উঠছিল যাতে আমরা আমাদের গোপন কথা গুলো একে অন্যেকে বলতে দ্বিধা করছিলাম না। কথা সিনেমা, গল্পের বই থেকে এসে প্রভার ভিডিও আর এই নিয়ে বাংগালীর নীতিবোধ এ এসে পরল। অন্য সব কথায় কথা বললেও এই ব্যাপারে চুপ থাকলাম। আসলে জুলিয়েট আর ফারিয়া যেভাবে কথা বলছে তাতে বুঝা যাচ্ছিল ওরা প্রভার ভিডিও দেখেছে। আসলে মফস্বল থেকে আসা আমি তখনো পর্ন গোপনে দেখা কে স্বীকার করা বা কার সাথে আলোচনায় যাবার মত অবস্থায় পৌছাই নাই আর মেয়েদের সামনে তো আর না। তাই জুলিয়েট যখন জিজ্ঞেস করল কিরে তুই কিছু বলিস না কেন। তোর কি মনে হয়? সবাই খালি প্রভা কে দোষ দিচ্ছে তুইও কি দিবি নাকি। আমি বললাম না, কাজটা করছে দুইজন অতএব একজন কে দোষ দেবার উপায় নাই আর এই ভিডিও ফাস করে বয়ফ্রেন্ড ভাল কাজও করে নায়। ফারিয়া বলল তুই দেখছিস? আমি বললাম সেটা ব্যাপার না কথা হল কাজটা ঠিক হয় নায়। জুলিয়েট ব্লাফ দিল তুই দেখছিস তোর কথা শুনেই বুঝা যাচ্ছে। আমি বললাম না। ফারিয়া বলল সত্যি বল। ভাল সাজার চেষ্টা করিস না। আমরা দেখছি। তুই দেখছিস? আমি আবার বললাম না। জুলিয়েট এইবার এমন এক কাজ করল এতেই আমি ধরা খেয়ে গেলাম। হঠাত করে লাফ মেরে উঠে আমার কাছে এসে বলল, পা ফাক কর তো বেবি। পা ফাক কর। ফারিয়া শুনে হেসে কুটিকুটি। আমি বললাম কি করিস। জুলিয়েট বলল পা ফাক কর তো বেবি। আমার অস্বস্তি শুরু হল, একে তো জুলিয়েট হল ক্ষ্যাপাটে কখন কি করে ঠিক নাই। আবার ফারিয়াও হাসছে কিছু না বলে। আমি বললাম সর সর। দূরে সরে বস। জুলিয়েট এইবার আমার বুকে আংগুল দিয়ে ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে বলল এইটা কার বল তো বেবি। ফারিয়া পুরা প্রভার মত হাস্কি সাউন্ড করে বলল আমার। এইবার আমি আর পারলাম না, বললাম তোরা কি আমারে প্রভা বানাচ্ছিস। শুনেই জুলিয়েট হাত তালি দিল বলল দেখছিস ব্যাটা ভিডিও টা দেখছে নাইলে এইসব কথা বুঝল কেমনে। 

আমি অবশ্য বলেই বুঝলাম ধরা খেয়ে গেছি। ফারিয়ার হাসি আর জুলিয়েটের হাত তালিতে পুরা লালে লাল অবস্থা। কনজারটিভ বাঙ্গালী পরিবেশে বড় হয়ে যেখানে পর্ন দেখার কথা সমবয়সি ছেলেদের কাছেই স্বীকার করি না সেখানে মেয়ে বন্ধুদের কাছে নিজের ভুলে ধরা পরে লজ্জায় মিশে যেতে ইচ্ছে হল। ফারিয়া সম্ভবত ব্যাপার টা বুঝতে পারল। বলল, কুল ম্যান। এত লজ্জা পাবার কিছু নেই। পর্ন আমাদের বয়েসি প্রায় সবাই দেখে। ছেলেরা তো মনে হয় একশ পার্সেন্ট দেখে, মেয়েরাও কম দেখে না আজকাল। সেখানে তোর লজ্জা পাবার কিছু নাই। আমরা আমাদের যৌন ইচ্ছা গুলো কে এমন ভাবে দমিয়ে রাখি যে এগুলো কখনো কখনো সমাজে এইজন্য বিকৃত মানুষ তৈরি করে। ফারিয়ার কথা একটু ইজি করে পরিবেশ। আসলে ফারিয়া যখন কনফিডেন্টলি কোন কিছু বলে তখন ওর কনফিডেন্টের কারণে যে কোন জিনিস বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে। আর বলেছিলাম না ওইদিনের পরিবেশে কিছু একটা ছিল। তাই আমরাও নিজেদের সাথে নিজেদের লুকোচুরি বাদ দিয়ে আসল আমি টা অন্যদের সামনে নিয়ে এসেছিলাম। জুলিয়েট আমার অস্বস্তি কমাতে এইবার বলল আরে এত লজ্জা পাস কেন। আমি তো ক্লাস টেনে থেক পর্ন দেখি। ফারিয়া বলল আমি এত দিন না, কলেজের সেকেন্ড ইয়ার হবে। তুই কবে থেকে দেখিস? আমি লাজুক স্বরেই উত্তর দিলাম, কলেজ ফার্স্ট ইয়ার থেকে। শুনে জুলিয়েট একটা শিস দিল। বলল দেখিছিস ফারিয়া সবাই ওরে কত নিষ্পাপ ভাবে আর শালা কি। আমি এইবার ওর দিকে তাকায়ে বললাম তোরাই না বললি জাজ না করতে তাইলে এগুলা কি বলিস। শুনে জুলিয়েট বলে এত সিরিয়াস কেন তুই আজকে। যা হাত দে, হাত দিতেই ফারিয়ার হাত টা নিয়েই আমার হাতের উপর রাখল। তারপর তিনজন তিনজনের উপর হাত রেখে জুলিয়েট প্রথমে বলল আজকে আমরা যা আলোচনা করব তা আমাদের তিন জনের বাইরে কখনো বলব না। ফারিয়াও বলল ঠিক আছে। আমিও হ্যা বললাম। মনে হল বুক থেকে একটা পাহাড় নেমে গেল। 

কথায় কথায় বের হল ফারিয়া এখন সিংগেল। মেয়েরা বাকিরা জানলেও গ্রুপের মধ্যে আমি জানতাম না। জুলিয়েটের প্রেম থাকলেও এর ভবিষ্যত নিয়ে ও বড় সন্দিহান। ওর ভাষায় পাওলো (ওর বয়ফ্রেন্ড) বড় পানসে। খালি নিয়ম আর নিয়ম মেনে চলে, রুটিনের বাইরে চলতেই চায় না। আমি বললাম তাহলে তোরা প্রেম শুরু করলি কেন? বলল সবাই শুরুতে ভাবে সব ওয়ার্ক আউট করবে। আমার টার্ন আসলে আমি আমার আগে বর্ণিত সিলেটে রেখে আসা কল্পিত এক গার্ল ফ্রেন্ডের গল্প শুনালাম। ঢাকায় আসায় যোগাযোগ কমে গেছে এই গল্পও ফাদলাম। 
আসলে এই রকম এক বৃষ্টি মুখর মাতাল বিকেল ছিল আমাদের কনফেশন ডে। আমাকে ইজি করার জন্যই হয়ত জুলিয়েট এই কনফেশন গেম শুরু করল। কেউ একটা প্রশ্ন করলে বাকিদের উত্তর দিতে হবে। প্রথম প্রশ্ন আমাকেই ছিল, আমি ভার্জিন কিনা। আমি একটু ইতস্তত করায়, ফারিয়া বলল ও ভার্জিন, জুলিয়েট ভার্সিটির শুরুতেই ভার্জিনিটি লস করেছে আর আমি তো সম্ভবত ভার্জিনস্য ভার্জিন। তবে বললাম সেকেন্ড বেস পর্যন্ত গেছি গার্ল ফ্রেন্ডের সাথে। মানে কিস করেছি, দুদ জামা ছাড়া হাত দিয়েছি। শুনে জুলিয়েট বলল তুই আর ফারিয়া দেখি সম লেভেলের ভার্জিন। এই বলে হাসতে লাগল। প্রথম কিস? ফারিয়ার, জুলিয়েট দুই জনের ফার্স্ট কিস কলেজে। তাই আমিও বানিয়ে বললাম আমারো ফার্স্ট কিস কলেজে থাকার সময়। ফার্স্ট কিস, ফার্স্ট ক্রাশ থেকে কাকে খুন করতে ইচ্ছে করে এই রকম নানা অদ্ভুত প্রশ্ন চলল আমাদের মাঝে। হঠাত আমার মাথায় একটা দুষ্টু বুদ্ধি খেলল। আমি প্রশ্ন করলাম প্রথম দেখা পেনিস। ছোট অবস্থায় ভাই কাজিন এদের টা দেখছি এটা বলা যাবে না। এডাল্ট অবস্থায়। জুলিয়েটের উত্তর ছিল ওর বয়ফ্রেন্ডের। কলেজে থাকার সময়। ফারিয়া বাস্তবে এখনো দেখে নি যদি না পর্ন কাউন্ট হয়। আমি বললাম আমার টা। ফারিয়া মানল না। বলল তোর ক্ষেত্রে হবে মেয়েদের টা। আমি মজা করে বললাম মেয়েদের কি। জুলিয়েট বলল আরে শালা মেয়েদের পুসি, পুসি। আমি আবার বানান গল্প ছাড়লাম গার্ল ফ্রেন্ডের টা। জুলিয়েট প্রশ্ন করল চটি পড়ি কিনা। হ্যা উত্তর দিলাম। ফারিয়া বলল পড়ার চেষ্টা করেছে তবে ওর রুচির সাথে যায় নি।

রুচির সাথে কেন যায় নি জুলিয়েটের এই প্রশ্নের উত্তরে ফারিয়া বলল দূর্বল কাহিনি আর বাজে বাজে শব্দ। বাজে শব্দ বলতে কি বুঝাচ্ছিস? ফারিয়া বলল অই যে যা যা লিখে আরকি। জুলিয়েট বলল, গুদ, ধোন, বাড়া, দুদু এই সব? ফারিয়া মাথা নেড়ে হ্যা উত্তর দিল। জুলিয়েট বলল মাগী দুই পাতা বই পড়ে এই বইয়ের দাম দিতে চাও না। ফারিয়া বলল বাজে কথা বলিস না। জুলিয়েট বলল মাগী মানে মেয়ে মানুষ তা হলে খারাপ কি হল। এইবার ফারিয়া কে ক্ষেপানোর জন্য আবার বলল মাগী কামিজ ঠিক কর বড় বড় দুদু গুলা সব বুঝা যায়। বলেই সেই কি ক্ষিক ক্ষিক হাসি। 

সেইদিন এইরকম নানা প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় অর্থহীন কথা হয়েছিল। হাসি, রাগ আর গোপন কথার ভিতর আমাদের ভিতরের ট্রাস্টের আর শক্ত ভিত গড়ে উঠেছিল তখন। কেউ জানত না কিন্তু আমরা জানতাম আমাদের সেই বিকেল থেকে গোপন কথার ভান্ডার আছে যা আমাদের তিন জনের বাইরে কেউ জানে না।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ