Subscribe Us

Header Ads

বন্ধু | ভার্সিটি পড়ুয়া পাঁচ মেয়ে আর এক ছেলের গ্রুপের বিশেষ গল্প | পর্ব ৪৩ (নতুন আপডেট)

বন্ধু | ভার্সিটি পড়ুয়া পাঁচ মেয়ে আর এক ছেলের গ্রুপের বিশেষ গল্প | পর্ব ৪৩ (নতুন আপডেট) 

জুলিয়েটের সাথে কুইকির পর সেদিন পুরো ব্যাপারটা একটা স্বপ্নের মত মনে হচ্ছিল। ছেলেদের ফ্যান্টাসিতে অনেক কিছু আসে। আশেপাশের সুন্দরীরা পাগল হয়ে থাকবে তার জন্য এটা ছেলেদের কমন একটা ফ্যান্টাসি। এতদিন পর্যন্ত সেটা আমার কাছে ফ্যান্টাসি ছিল কিন্তু সেদিন মনে হচ্ছিল যেন ফ্যান্টাসি আর বাস্তব এর মাঝামাঝি কোথাও আছি।  শুরুতে ফারিয়ার আকস্মিক আচরণ আর পরে জুলিয়েটের পাগলামি। ফারিয়ার বাথরুম আটকে রাখতে না পারার ঘটনায় স্বাক্ষী থাকায় আমাদের মাঝে সাধারণ ছেলেমেয়েদের মধ্যে যে অদৃশ্য দেয়াল থাকে সেটা যেন আড়াল হয়ে গেছে। আমরা কেউ কাউকে তেমন কিছু বলি নি কিন্তু আড়াল হয়ে গেছে সেটা আমি বুঝতাম। ফারিয়া আর বেশি আস্থায় নেয় আমাকে আর আমিও। তবু ফারিয়ার আচরণ যেন আমার ব্যাখ্যাতীত। ক্লাসের হার্টথ্রব এর এই আচরণ এর ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। পরে ধীরে ধীরে অবশ্য ফারিয়ার এই আচরণের একটা ব্যখ্যা আমি দাড় করিয়েছি তবে সে ব্যাখ্যায় পরে আসছি। আর জুলিয়েট তো জুলিয়েট। সব সময় খ্যাপাটে কিছু করা চাই তার। বাথরুমে ফারিয়া সে সময় ধরা পড়ার ভয় কে সামনে কিছু করার যে উত্তেজনা সেটা জুলিয়েট কোন ভাবেই এড়াতে পারে নি। অবশ্য আমি নিজের সম্পর্কেও একটা জিনিস বুঝলাম এই যে ধরা পড়ার একটা ভয়, এর যে উত্তেজনা সেটা জুলিয়েটের মত আমাকেও সেক্সুয়াল স্যাটিফিকশনের এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়। কে না জানে ডর কি আগে জিত হ্যায়। ভাবতে ভাবতে হাসলাম। কে জানত ফার্স্ট ইয়ারে আমার ভাগ্যে এই লেখা আছে। আমি নিজেই বিশ্বাস করতাম না কেউ আমাকে বললে। ক্লাসের হট গার্ল চুমু খাচ্ছে আমাকে। জোর করে না, নিজের ইচ্ছেতেই আর আবার তাকে বাথরুমে রেখে কিচেনে জুলিয়েটের মত পাগলা ঘোড়ার সাথে সেক্স। অসম্ভব। আমার ভবিষ্যত নিয়ে এই ভবিষ্যতবাণী করলে আমি নিশ্চিত পাগল ঠাউরে নিতাম। সাম টাইমস ট্রথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন।


এইসব ঘটনার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে যেটা হলো সেটা আমার জন্য এক অর্থে পজিটিভ বলা যায়। সারাজীবন মেয়েদের ব্যাপারে লাজুক আমি। জুলিয়েট, ফারিয়া, সুনিতি, মিলি আর সাদিয়ার সাথে মিশে মেয়েদের সাথে বন্ধুত্বের ভয় দূর হয়েছিল আগেই। বিপরীত লিংগের সাথে সম্পর্কের দুইটা দিক। বন্ধুত্ব আর শারীরিক আকর্ষণ। বন্ধত্বের ব্যপারে ভয় দ্বিধা দূর হয়েছে আগেই। বাকি থাকে আর শারীরিক আকর্ষণ। সময়ের সাথে সাথে ছেলেমেয়ে বন্ধুত্ব এখন আমাদের দেশে আর আগের মত ট্যাবু নেই কিন্তু শারীরিক আকর্ষণ আর তার প্রকাশ এখনো ট্যাবু জোনের ঘোর অন্ধকার জায়গা। শারীরিক আকর্ষণের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রকাশ সেক্স। আর তাই এটা নিয়ে ট্যাবু সবচাইতে বেশি। বাংলাদেশি সমাজে বেড়ে উঠে বাকি সব তরুণদের মত আমার জন্য তাই শারীরিক আকর্ষণ বিষয়টা ট্যাবু আর সেক্স আর বেশি ট্যাবু সাবজেক্ট। বাকি সবার মত আমার নিজের এই ট্যাবু বিষয়ে আগ্রহের শেষ নেই কিন্তু কীভাবে সেই কৌতুহল মেটানো যায় সেই বিষয়ে আমার কোন ধারণা ছিল না। কলেজে এবং ভার্সিটিতে কিছু বন্ধু নিয়মিত হোটেলে যেত টাকার বিনিময়ে শারীরিক চাহিদা আর শরীর সম্পর্কে কৌতুহল মেটাতে। মিথ্যা বলব না, আমাকে যেতে বলেছে বন্ধুরা অনেকবার কিন্তু শেষ পর্যন্ত আগ্রহ পাই নি। শরীর সম্পর্কে কৌতুহলের সাথে মিশে আছে আমাদের শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে চিরন্তন রোমান্টিসিজম। মন ছাড়া শারীরিক সম্পর্ক খালি জান্তব চাহিদা মেটায় আসল তৃপ্তি দেয় না। কিন্তু সেটা পাব কোথায়? কোন কোন বন্ধু প্রেমের ভিতর শরীর ঢুকিয়েছে। বেশির ভাগের দৌড় পার্কের অন্ধকার কোনা, সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের কোন চিপা বা রুম ডেট। এদের বেশিরভাগ চাইলেও শেষ লক্ষ্যে পৌছাতে পারে নি। আবার কেউ কেউ পেরেছে। তবে আমার তো সেরকম কেউ নেই। শুরুতে ভয়ের কারণে কাউকে পছন্দ করলেও সেটা জানাতে সাহস  হয় নি। তাই না টাকার বিনিময়ে শরীর বা মনের সাথে শরীর কোন কিছুর স্পর্শ পাওয়া হয় নি। এরপর আবার ক্লাসের একটা মেয়ে গ্রুপের সাথে বন্ধুত্ব। এইসব ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় হয় দুইটা জিনিস। এক, অনেকে ধরে নেয় এই মেয়ে গ্রুপের কার সাথে প্রেম আছে তাই বাকি মেয়েরা আর সেই ছেলেকে যোগ্য ক্যান্ডিডেট হিসেবে গোনায় ধরে না। আর দুই, নাহলে ধরে নেয় এই ছেলে ভেড়ুয়া। মেয়েদের পিছে পিছে ঘুরাই এর কাজ। এই ধারণাও প্রেমের সম্পর্কে যাবার জন্য বড় বাধা। এইসব মিলিয়ে নেই কোন প্রেম। তার পরেও প্রেমহীন এই জীবনে বন্ধুত্ব আর শরীরের মাঝে এক ঝাপসা জায়গায় আস্তে আস্তে আমি আসন গাড়ছি এটা আমি নিজেও বুঝতে পারছিলাম। ভিক্ষুকের আবার চাহিদা কি। তাই যা পাওয়া যায় আমি তাতেই খুশি।


পিছনের ঘটনা ভাবতে গিয়ে মনে হল কীভাবে শুরু? নিশ্চিত ভাবেই কাকতলীয় ভাবে। পাবলিক লাইব্রেরির সামনে মিলির ক্লিভেজ দেখা বা বাসের ঘটনা। জুলিয়েটের পাগলামি আর তার ঔষুধ এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে হর্নি থাকা সাথে পাবলোর অবহেলা। ফারিয়ার সাথে জাহাংগীরনগর ভ্রমণ বা সিএনজিতে করে আসার সময় ওর হিসু ধরে রাখতে না পারা। সুনিতির সাথে হাতাহাতির সময় ভুল জায়গায় হাত পড়ে যাওয়া। কোনটাই প্ল্যান নয়। ঠিক সময়ে খালি ঠিক জায়গায় উপস্থিত থাকা। অবশ্য এরপর যে আমি সেই কাকতলীয় ঘটনার সুযোগ নেই নি তা তো নয়। অন্তত জুলিয়েট আর মিলির ক্ষেত্রে। কাকতলীয় থেকে বিস্ময়কর ব্যাপার হলো পরের সময় গুলোতে আমি যেভাবে এগুলাম। অন্তত এই সময় গুলোতে আমার নিজের আচরণ সাধারণ আমি থেকে অনেক বেশি  সাহসি। ভাবতে ভাবতে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করলাম আমি কি চাই? উত্তরটা সহজ আবার ধাধার মত প্যাচানো। আমি আর সামনে এগুতে চাই কিন্তু আমাদের কোন বন্ধুত্ব কে ক্ষতি না করে। কঠিন ব্যাপারটা। আমি সময়ের উপর ছেড়ে দিলাম। অনেক জায়গায় ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় উপস্থিত ছিলাম আর পরে সে সুযোগের ব্যবহার করেছি। এখন হয়ত তাই করব। না করার কোন কারণ নেই। এমন নয় যে কাউকে ঠকাচ্ছি বা জোর করছি। মিলি একটা ধাপের পর এগুতে চায় নি তাই আর এগুনো হয় নি। জুলিয়েট সামনে এগুতে চেয়েছে আমি এগিয়েছি। ফারিয়া আর সুনিতি? সময় বলে দিবে। তবে সামনে আগানো থামানো যাবে না। থামাতে চাইলেও অবশ্য থামতে পারব বলে মনে হয় না। কারণ এখন স্বপ্নে নিত্য সবার আনাগুনা। আগে রাতে মাস্টারবেশন করার সময় মাথায় থাকত সিনেমার নায়িকা বা দূর থেকে দেখা কেউ। এখন সামনে থাকা মানুষেরা। মাস্টারবেশন এর আবেশ শক্তিশালী হতে পারে এই ধারণা আগে ছিল না। এখন একেক দিন একেক জন কে বেছে নেই। যেমন গত কিছুদিন ধরে ফারিয়া। ফারিয়া ঐদিন জড়িয়ে ধরে চুমু খাবার সময় শরীরের স্পর্শ আর গায়ের ঘ্রাণ মাথায় গেথে গেছে। কি নরম। আগুনের মত গন্ধ। আসলেই কি ঐটা ফারিয়ার শরীরের ঘ্রাণ নাকি পারফিউম। আমি জানি না। খালি জানি মাথার ভিতর আগুন গন্ধ গেথে গেছে। মুক্তি নেই এর থেকে। চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাই চেটে দিচ্ছি ফারিয়ার সব। চোখ, নাক মুখ গলা। হাতের ভিতর ভরে আছে ফারিয়ার দুধ। ডাকছে উচু পাছা। পাছার কথা ভাবতেই সুনিতিও চলে আসল দৃশ্যে। ওর  উচু পাছায় চাপড় মারতে হবে। আমাকে নিয়ে হাসছে। সাহস কত। আমি সবসময় ওর পক্ষ নিই আর আমাকে নিয়ে হাসছে যখন আমি ব্যাথা পেলাম মেইন পয়েন্টে। সাহস কত। মনে হচ্ছে লাল করে দিই পাছা। কামড়ে দাগ বসাই পাছায় আর চাপড়ে চাপড়ে আতকে দিতে থাকি সুনিতির গুদ। হ্যা সুনিতির গুদ। সুনিতির গুদ পাছা যেন এবার চোখের সামনে ভেসে আসছে। ওর ছোট দুধে জোয়ার আনার কথা নিয়ে ক্লাসে যে হাসা হাসি হয় সেই জোয়ার আমাকেই আনতে হবে যেন।  চুষ, চাবকে চেটে  জোয়ার আনতে হবে। জুলিয়েট ওর নাজরানা দিয়েছে। বাকিদের দিতে। সুনিতি, ফারিয়া, মিলি। মিলির নাম মাথায় আসতেই মিলির গুদের গরম স্পর্শে আটকে যাওয়া আংগুলের স্মৃতি মনে চলে আসল। উফ, কি গরম। সব মিলিয়ে এক বিস্ফোরণ।



এভাবে চলছে দিন তখন। প্রতি রাতে মিলি,ফারিয়া আর সুনিতি আসছে স্বপ্নে। জুলিয়েট অবশ্য স্বপ্নে দেখা দেবার দরকার পড়ছে না। আমাদের বাধ ভেংগে গেছে তাই ছয় সাত দিন পর পর জুলিয়েট মেসেজ পাঠায়, আর  আমার বাসায় চলে আসে। তারপর বাধ ভাংগার খেলা। খেলার স্বাক্ষী হিসেবে কাপড় গুলো রুমময় ছড়িয়ে থাকে। সেটাও যেন আমার ভিতরের আগুন কমাতে পারছে না। বেড়েই চলছে আগুন। ফারিয়ার সাথে নিয়মিত কথা হয়, আড়ালে চোখাচুখি। অন্যরা খেয়াল করে না কিন্তু আমরা আমাদের চোখ দিয়ে এক অন্যকে পড়ার চেষ্টা করি। তবে এর বেশি কিছু এগুচ্ছে না। ফারিয়া যথেষ্ট ব্যক্তিত্ববান। নিজে থেকে সামনে এগুতে না চাইলে এগুনো কঠিন। অবশ্য আমাদের গ্রুপের সবার ব্যক্তিত্ব বেশ শক্তিশালী। এমন কি জুলিয়েটের। ক্লাসের অনেকে আড়ালে তাই আমাদের গ্রুপের মেয়েদের ডাকে ভাবওয়ালী গ্রুপ। কিন্তু মনের ভিতর তখন আগুন। বেরুবার রাস্তা খুজছে। কবে আবার সময় সুযোগ আসবে তার অপেক্ষায় অধর্য্য হয়ে উঠছে। আমি শান্তনা দিচ্ছি সবুর কর সবুর কর। কারণ ফারিয়া যদি পজিটিভ না থাকত তবে এতদিনে বন্ধুত্ব খতম বা একটা অস্বস্তিকর পরিবেশ হত। তার কিছুই হচ্ছে না। বরং যখন কেউ খেয়াল করছে না তখন চোখাচুখি আর মৃদু হাসি। এইসবের মাঝে একদিন যা হলো তাকে অনেক ভাবেই ব্যাখ্যা করা যায়। পরীক্ষার তখন প্রায় সামনে। পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের কাজ চলছে। সব কোর্সের সিলেবাস শেষ। শেষ মিডটার্ম হচ্ছে সব কোর্সের। যারা মাঝে পরীক্ষা এসাইনমেন্ট মিস করেছে সেইসব জমা দেবার জন্য স্যারদের পিছনে ছুটছে। সারা বছরের পড়া আর নোট জোগাড় যন্তরের দৌড়ঝাপ চারিদিকে। ফটোকপি মামাদের ব্যস্ততা বলে দিচ্ছে বাকিদের তাড়া। এইসবের মাঝে পড়ে জুলিয়েট দুই সাপ্তাহ ধরে আর হঠাত ফোন বা মেসেজ পাঠিয়ে হাজির হচ্ছে না। মাঝখানে খামখেয়ালি করে দুইটা মিডটার্ম দেয় নি। এখন স্যার ম্যাডামদের কাছে অনুনয় বিনয় করে রিএক্সামের পারমিশন যোগাড় করেছে। শেষ মিডটার্ম আর মাঝে আগে বাদ পড়া মিডটার্মের চাপে জুলিয়েট চিড়েচ্যাপ্টা। তাই তার খোজ নেই। তাই সাপ্তাহিক আগুন বেড়ে দাউ দাউ করে জ্বলছে ভিতরে। আর সাথে ফারিয়ার আড়া চোখে আগুন জ্বালানো হাসি। আগুনে আগুনে আমি তখন উড়ছি। জ্বালাবার মত কিছু নেই। রাতের স্বপ্নে জুলিয়েট,ফারিয়া, মিলি, সুনিতি সব মিলিয়ে এসেও আগুন কমাতে পারছে না।  



সেদিন বৃহস্পতিবার সকাল বেলা। সব ডিপার্টমেন্টে তখন পরীক্ষা পরীক্ষা রব। কোন কোন ইয়ারে পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে আর কোন ইয়ারে শুরু হবে। আমাদের প্রায় দুই সাপ্তাহ বাকি। ফর্ম ফিলাপের সময় শেষ হয়ে আসছে। সেদিন ফিলাপ করে সব কাজ  শেষ করব বলে ঠিক করলাম। আগেরদিন কথা বলা ছিল আমি, মিলি, সুনিতি আর ফারিয়া মিলে ফর্ম ফিলাপ করব। জুলিয়েট আর সাদিয়ার ফর্ম ফিলাপ শেষ। কথা ছিল সকাল নয়টার মধ্যে সবাই আসব আসতে আসতে সকাল দশটা বেজে গেল সবার। ডিপার্টমেন্ট থেকে ফর্ম নিয়ে ফিলাপ করে স্যারদের সাইন নিতে নিতে প্রায় বারটা। দৌড়ে যে যার হলে গিয়ে সাইনের নিয়ে আসতে আসতে আসতে প্রায় একটা। এদিকে ফর্ম জমা দেবার সময় বাজল অন্য গন্ডগোল। ফারিয়ার ফর্মে পাসপোর্ট সাইজের ছবি কিন্তু ফর্মে জমা দিতে স্ট্যাম্প সাইজ ছবি। ডিপার্টমেন্টের অফিস স্টাফ কনক দা কিছুতেই ফর্ম জমা নিবে না। আমাদের ফর্ম অবশ্য জমা দিয়ে দিলাম। এখন একটাই উপায় নীলক্ষেত গিয়ে ছবি থেকে ছবি করিয়ে এনে জমা দেওয়া। আর ডিপার্টমেন্টের অফিসও এক ঘন্টার জন্য লাঞ্চ ব্রেকের বন্ধ হবে। মিলি আর সুনিতি দুই জনের কাজ আছে। মিলির বিকাল বেলা টিউশনি তাই খেয়ে একটু বিশ্রাম নিবে, সুনিতির বাস আছে তাই বাসায় চলে যাবে। ফারিয়া কাউকে না পেয়ে ধরল আমাকে। শুরু করল চল, চল চল। একটু গাইগুই করে আমি রাজি হয়ে গেলাম। বাকিদের বাই বলে নীলক্ষেতের দিকে রিক্সা নিলাম একটা। প্রচন্ড গরম আর রোদ। ফারিয়া তাই হুড তুলে দিতে বলল রিক্সার। হুড তুলে দিলে অটোসাটো হয়ে বসতে হয় ভিতরে। একটু বাতাস নেই। গায়ে গা ঘেষে বসে আছি দুইজন। জ্যাম, পরীক্ষা সব নিয়ে কথা হচ্ছে। রাস্তায় হালকা জ্যাম। এর মাঝে যেন নাকে হঠাত এসে লাগল পরিচিত সেই গন্ধ। ফারিয়া কে চমু খাবার সময় পাওয়া সেই গন্ধ যেটা মাথায় ভিতর গেথে রয়েছে সেটাই নাকে এসে লাগল। এবার ছাইচাপ আগুন নয় বরং গনগনে আগুনে যেন তুষ এসে পড়ল। বাড়া যেন নিজ থেকে ক্ষেপে শক্ত হয়ে উঠল। হাতের ব্যাগ কোলের উপর রেখে লুকিয়ে রাখতে হচ্ছে সব। ফারিয়া ওর মত কথা বলে যাচ্ছে মাঝে মাঝে রিক্সার অল্প জায়গায় আমার বাম হাতে ওর পেলব বাহুর ছোয়া। একটা কাল পালাজোর উপর হালকা হলুদ বাটিকের ফতুয়া। দারুণ কম্বিনেশন। কিন্তু আমার মাথায় তখন ওসব নেই খালি মাথার ভিতর তখন সেই গন্ধে মৌ মৌ করছে। এর ভিতর কখন রিক্সা নীলক্ষেত পৌছালো আমরা নেমে ছবি প্রিন্ট করালাম কিছুই মনে নেই। মাথার ভিতর মৌ মৌ সেই গন্ধ আর কিছুকেই মনে রাখতে দিচ্ছে না। ফিরে আসার সময় দেখি বড় জ্যাম আর রিক্সার অসম্ভব ভাড়া। তাই দশ মিনিটের রাস্তা হেটেই চলে আসলাম। তখন অবশ্য আমাকে দশ ঘন্টা হাটতে বললেও আমি রাজি। এই সুন্দর গন্ধ কে ছেড়ে যেতে চায়। তাড়াতাড়ি হেটে ডিপার্টমেন্টের অফিসের সামনে এসে দেখি দুইটা বাজতে প্রায় দশ মিনিট বাকি। অফিস বন্ধ। অবশ্য এরা এক ঘন্টার কথা বলে গেলেও দেড় ঘন্টার আগে অফিসে আসে না। তার উপর আজকে বৃহস্পতিবার। সব স্যাররাই দুপুর বারটার পর হাওয়া। পরীক্ষার জন্য ক্লাস নেই। তাই আজকে আর দেরি হলে অবাক হবার কিছু নেই। আমরা অপেক্ষা করছি করিডোরে। ক্লাস রুম গুলো খোলা কিন্তু কারেন্ট নেই। তাই ভিতরে আর বাইরে সেইম কথা। ফারিয়া হাতে থাকা একটা খাতা দিয়ে বাতাস করছে। ঘামে একদম জব জবে দুই জনেই। আমার শার্ট শরীরের সাথে লেগে আছে। ফারিয়ার বাটিকের ফতুয়া ঘামে গায়ে জড়িয়ে আছে বুঝা যায়। এক হাতে বাতাস করতে করতে অন্য হাতে জামাটা শরীর থেকে আলগা করছে অস্বস্তি থেকে বাচতে। আমি আড় চোখে দেখছে। আমাকে তাকাতে দেখে সেই আগুন জ্বালানো মৃদু হাসি দিল। ভিতরের আগুন সব যেন বাড়া দিয়ে বের হয়ে আসতে চাইছে আমার।


চলবে ...... 



👇👇👇👇👇👇👇👇👇  গুরুত্তপুর্ন অবশ্যই পড়ুন👇👇👇👇👇👇👇👇

 আপনি যদি একজন বাঙালি, নারী হয়ে থাকেন প্রাপ্তবয়স্ক,  ওপেন মাইন্ডেড  এবং  আপনার যদি মনের মধ্যে  চটি গল্পের মত ফ্যান্টাসি কাজ করে,  কিন্তু তা সবার সাথে শেয়ার করতে পারছেন না?
 এমন একজন পার্টনার দরকার যে আপনার গোপনীয়তা বজায় রেখে আপনার সাথে,  ফেসবুক মেসেজে কিংবা সামনাসামনি আপনার ওই ফ্যান্টাসি  পূরণে আপনাকে সাহায্য করবে,  আপনার গোপনীয়তা এবং সম্মান বজায় রেখে।  তাহলে এই লিংকে ক্লিক করে,  মেসেজ করুন।  এখানে ক্লিক করুন! 
সামান্য একটু সাহস করলেই হয়তো ফ্যান্টাসি গুলো সত্যি হতে পারে! এখানে ক্লিক করে মেসেজ অপশনে মেসেজ দিন!  এখনি। 
মনে রাখবেন আপনার সম্মান এবং গোপনীয়তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি আপনি আমার সাথে কথা বলবেন এবং আমার সম্মান ও পরিচয়টাও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ! তাই,  আপনার যেমন আপনার পরিচয় প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে আমারও  রয়েছে।  আপনি পরিচয়টাকে সম্মান করবেন পরিচয়টাকে আমি সম্মান করব। 
*******************



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ